Skip to main content

মৌমাছি পালন ও মধুর উপকারিতা

 


মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য ও ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে। মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে তন্মধ্যে প্রধান উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব এসিড (যেমন-ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, অ্যান্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের ওষুধ, যার পচন নিবারক (অ্যান্টিসেপটিক), কোলেস্টেরলবিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ধর্ম আছে। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে খালি পেটে চা চামচের দুই চামচ করে মধু ডান হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতে হবে। নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে  যেসব উপকার পাওয়া যায়। তা হলো-



১. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে;

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;

৩. দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে;

৪. দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে;

৫. মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে;

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে;

৭. বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে;

৮. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়;

৯. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক;

১০. গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে;

১১. আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়;

১২. আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী;

 ১৩. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘায়ের জন্য খুবই উপকারী;

১৪. শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে;

১৫. ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে;

১৬. মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে;

১৭. মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে;

১৮. ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে;

১৯. রক্ত পরিশোধন করে;

২০. শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে;

২১. জিহ্বার জড়তা দূর করে;

২২. মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে;

২৩. বাতের ব্যথা উপশম করে;

২৪. মাথা ব্যথা দূর করে;

২৫. শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে;

২৬. গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে বিশেষ উপকার করে;

২৭. শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না;

 ২৮. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে;

২৯. ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায়;

৩০. মধু খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম।


মৌমাছি পালন ও মধুর উপকারিতা

কভার

প্রাচীনকাল থেকে মৌমাছি মানুষের নিকট অতি পরিচিত এক প্রকার ক্ষুদ্র, উপকারী ও পরিশ্রমী পতঙ্গ। সাধারণত দলবদ্ধভাবে বাস করে বলে এদের ‘সামাজিক পতঙ্গ’ বলা হয়। মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। মৌমাছিকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এনে মৌচাকের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পালন করাকেই মৌমাছি পালন বলা হয়। পবিত্র  কুরআনে সুরা আন নাহল ১৬:৬৮-৬৯-এ মৌমাছি সম্পর্কে উল্লেখ আছে। এরা আকারে মাঝারি ও শান্ত, তাই এদের বাক্সে লালন-পালন করা যায়। অন্ধকার স্থান যেমন- গাছের ফোকর, দেয়ালের ফাটল, আলমারি, ইটের স্তূপ ইত্যাদি স্থানে এরা চাক বাঁধে। চাকপ্রতি মধুর উৎপাদন প্রতিবারে গড়ে প্রায় ৪ কেজি। এ ছাড়াও পাহাড়ি ও ক্ষুদে মৌমাছি আছে, তবে এদের পালন করা যায় না। একটি মৌচাকে তিন শ্রেণীর মৌমাছি থাকে, যথা: (১) রাণী, (২) পুরুষ ও (৩) শ্রমিক মৌমাছি। রাণী মৌমাছি সবচেয়ে বড় প্রকৃতির। একটি চাকে একটি মাত্র রাণী মৌমাছি থাকে। এর একমাত্র কাজ ডিম পাড়া। পুরুষ মৌমাছি মধ্যম আকৃতির ও এদের চোখ বড়। কিন্তু এদের হুল নেই। এদের একমাত্র কাজ রাণীর সাথে মিলিত হওয়া। শ্রমিক মৌমাছি সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। এদের চোখ ছোট, কিন্তু হুল আছে। রাণী ও পুরুষ বাদে অবশিষ্ট সকল সদস্যই শ্রমিক মৌমাছি। এরা নানা দলে ভাগ হয়ে চাকের যাবতীয় কাজ (যথা- চাক নির্মাণ করা, ফুলের মিষ্টি রস ও পরাগরেণু সংগ্রহ করা, মধু তৈরি করা, চাকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, চাকে বাতাস দেয়া চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি) সম্পন্ন করে। বাংলাদেশে বর্তমানে দেশি ও বিদেশি মিলে ৪ প্রজাতির মৌমাছি আছে। এপিস ফ্লোরিয়া, এপিস ডরসাটা, এপিস সেরেনা ও এপিস মেলিফেরা। ইউরোপীয় জাতের এপিস মেলিফেরা মৌমাছি শান্ত ধরনের হয়। বাংলাদেশে এর চাষ করা হয়।  সাধারণত ৫০০ গ্রাম মধু তৈরি করতে মৌমাছির ২ মিলিয়ন ফুলের দরকার পড়ে।



মৌমাছি পালনের উপকারিতা

অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়ক :  মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায়। পরাগায়নে জন্য মৌচাষ এখন আধুনিক প্রযুক্তি। মৌমাছির মাধ্যমে সফল পরাগায়ন সম্ভব এটি সর্বজনস্বীকৃত। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় মৌমাছিরা তাদের পা এবং বুকের লোমে ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়লে পরাগায়ন ঘটে, যার ফলশ্রুতিতে উৎপন্ন হয় ফল।  বিভিন্ন মধুফুল মৌসুমে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়িত ফসলের ১০ থেকে ১৫ ভাগ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত বাড়তি ফসলের মূল্য মোট উৎপাদিত মধু ও মোমের মূল্যের ১০ থেকে ১৫ ভাগ বেশি।



কুটির শিল্প ও বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা : মৌমাছি পালনকে কুটির শিল্প হিসেবে গ্রহণ করলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হবে ও বাড়তি আয় হবে । গ্রামের স্বল্পআয়ের পরিবারগুলোতে মৌমাছি পালন একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে।



বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে সহায়ক : এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু রপ্তানি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি মধু রপ্তানি হয়, যা মোট রফতানির ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে সুন্দরবনের মধু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজার সৃষ্টি এবং মধু আহরণে সংশ্লিষ্ট মৌয়ালদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাঁটি মধু আহরণের ব্যবস্থা করতে পারলে এর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। সুন্দরবনে প্রকৃতিক মধু সংগ্রাহক মৌয়ালরা ছাড়াও বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া মৌ চাষির সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার। এসব চাষির খামারে বছরে গড়ে পাঁচ হাজার টন মধু উৎপাদন হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫০ মেট্রিক টন অর্থাৎ ৫৫ কোটি টাকার মধু ভারত, আরব আমিরাত ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি হয়েছে। এটি দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।



পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক : দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ তবে পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন করতে হলে আমাদের এখনও কিছু করণীয় আছে। মধু এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ মধু শর্করা জাতীয় খাদ্য হলেও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, এনজাইম ও খনিজ পদার্থ থাকে। একে সব রোগের মহাষৌধ বলা হয়।



বিশুদ্ধ ও মানসম্মত মধু উৎপাদনের জন্য সহায়ক : সাধারণ নিয়মে মৌচাক চেপে মধু বের করা হয়। এতে চাক থেকে মধু নিষ্কাশন যেমন সম্পূর্ণ হয় না তেমনি সেই মধুতে রয়ে যায় মোম, মৌমাছির ডিম ও বাচ্চা নিষ্পোষিত রস এবং অন্যান্য আবর্জনা। পালন করা মৌমাছির চাক থেকে যান্ত্রিক উপায়ে নিষ্কাশিত মধু যেমন বিশুদ্ধ, তেমনি নিষ্কাশনও হয় পুরোপুরি।



চাক নষ্ট না করে মৌমাছি উৎপাদনে সহায়ক : সাধারণ নিয়মে মধু সংগ্রহের সময় চাকটিকে নষ্ট করে ফেলা হয়। এ কাজের সময় অনেক ক্ষেত্রে বিপুলসংখ্যক মৌমাছিও মারা পড়ে। এ ছাড়াও চাকে অবস্থিত ডিম ও বাচ্চা নষ্ট হয়। এর ফলে দিন দিন মৌমাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।



খাঁটি মধু চেনার উপায়

মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। খাঁটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়। কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিলে ব্লটিং পেপার কর্তৃক মধু শোষিত হবে না। ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করে তোলে।



মধুর উপকারিতা

মধু ভালো শক্তি প্রদানকারী খাদ্য। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

মধুতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে।

মধু ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

রক্তশূন্যতা কমাতে মধু সহায়ক। মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

হাঁপানি রোধে এবং ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে সহায়তাকারী।

মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুমে কাজ করে।

যৌন দুর্বলতায় মধু অত্যন্ত সহায়ক। এ ছাড়া হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়। তারুণ্য বজায় রাখতেও মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রঙ ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু মুখের ঘায়ের জন্য উপকারী এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।

মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক এসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

শীতের ঠাণ্ডায় এটি দেহকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।

ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।

মধুতে নেই কোনো চর্বি। মধু পেট পরিষ্কার করে, মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।

এক চামচ মৌরি গুঁড়ার সাথে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর থেকে অল্প করে (তিন চার ফোঁটা) মধু নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। এতে তাদের পুরো দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ভালো হবে।

 


মধুর দানাদার সমস্যা

অনেক সময় মধু দানাদার আকার ধারণ করে। যদি কোনো মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ ফ্রুক্টোজের চেয়ে বেশি থাকে তখন সে মধু অতি দ্রুত দানাদার হয়। যেমন- সরিষা ফুলের মধু। আবার মধুতে পর্যাপ্ত পোলেন, ধুলাবালু ও বুদবুদ থাকলে সে মধু সহজে দানাদার হয়। সাধারণত ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মধু জমতে পারে। পানির পরিমাণ বেশি থাকলে মধুকে দানাদার হতে ত্বরান্বিত করবে। তবে দানাদার মধু খেতে কোনো সমস্যা নেই। এই দানাদার মধুকে তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তরল করা যায়। তবে দানাদার মধু ছয় মাসের মধ্যে ব্যবহার করা উত্তম।


Comments

Post View

 

ঘি খেলে কী মোটা হয় মানুষ?

  বেশীরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে ঘি খেলে মানুষ মোটা হয়। তাই ওজন কমানোর ডায়েটের কথা এলেই বেশীরভাগ মানুষ তাদের খাদ্যতালিকা থেকে প্রথমেই যে উপাদানটি বাদ দেন তা হচ্ছে ঘি। কিন্তু ঘি খেলে কী আসলেই মানুষ মোটা হয়? এই বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ জেনে নিই চলুন। ঘি খাওয়া কী ওজন বৃদ্ধির সাথে জড়িত?   ঘি আসলে আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ নয়। এটা সত্য যে, ঘি এ উচ্চমাত্রার ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। কিন্তু এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী এবং পরিপাক নালীর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। ঘাস খাওয়া গরু থেকে উৎপন্ন ঘি এ কঞ্জুগেটেড লিনোলেনিক এসিড (CLA) থাকে যা ওজন কমতে সাহায্য করে। ঘি দিয়ে খাবার রান্না করা কী স্বাস্থ্যসম্মত? হ্যাঁ, আপনি রান্না করতে পারেন ঘি দিয়ে। তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করুন। ঘি এর স্মোকিং পয়েন্ট অন্য তেলের চেয়ে বেশি। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল উৎপন্ন করেনা। তেল বা চর্বির স্মোকিং পয়েন্ট হচ্ছে তাপমাত্রার সুনির্দিষ্ট অবস্থা যেখানে তেল থেকে ক্রমাগত নীলাভ ধোঁয়া উৎপন্ন হয় যা স্প...

কেন খাবেন মধু? জেনে নিন মধুর এই ৩৩টি উপকারিতা

  কথায় আছে, জন্মের পর প্রথম মুখে মধু দিলে মিষ্টি কথা বলা শেখে শিশুরা। এটা সত্যি নয়, কথার কথা। কিন্তু মধুর যে প্রকৃতই বিশেষ গুণ আছে, সে কথা স্বীকার করতেই হয়। হয়তো মিষ্টি কথা বলানোর গুণ নয়। শরীরের ক্ষেত্রে বিশেষ গুণ। সেই গুণ কিন্তু আবার একটি-দুইটি নয়। অসংখ্য। মধুর সুফল বা উপকারিতা যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে রয়েছে, তেমনই রয়েছে রূপচর্চা ও চুলের যত্নে। তবে প্রথম পর্বে আমরা জানব মধু সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা কিন্তু জরুরি তথ্য। প্রাচীন কাল থেকেই মধুর ব্যবহার দেশে ব্যাপক মাত্রায় হয়ে আসছে। তবে শুধু যে দেশে তাই নয়, বিদেশেও কিন্তু মধুর কদর প্রচুর। চিন-সহ এশিয়ার বহু দেশই সকাল শুরু করে মধুর হাত ধরে। অর্থাৎ প্রাতরাশের তালিকায় থাকে মধু।   অনেকেই গরম জলে মধু, চায়ের সঙ্গে মধু ইত্যাদি নিয়মে নিয়মিত মধু খেয়ে থাকেন। তার উপকারিতা বা সুফলও পান পুরোদমে। সেই সুফলগুলি কী? তা তো অবশ্যই জানতে হবে। তবে তার আগে বলে নেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন ফুলের মধু থেকে তৈরি মানুষের খাদ্য এই মধুতে রয়েছে দারুণ খাদ্যগুণ। কী সেই খাদ্যগুণগুলি? মধুতে রয়েছে ৪৫টিরও বেশি খাদ্যগুণ। তার মধ্যে কয়েকটি হল ১। মধুতে থাক...

জেনে নিন ঘি-এর ১০ উপকারিতা

ঘিয়ের বহু গুণের কথা আমরা শুনে থাকলেও স্বাস্থ্য সচেতন, বলা ভাল ওজন সচেতন বর্তমান প্রজন্মের কাছে ঘি ভিলেন। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। ঘিয়ের বহু উপকারিতা তো রয়েছেই, ঘি কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। জেনে নিন কী কী কাজ করে ঘি। ১। স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়। ২। নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি। ৩। স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৪। ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ৫। কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই। ৬। ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে। ৭। হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ঘিয়ের বহু গুণের কথা আমরা ...

কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা

 ইসলামের দৃষ্টিতে রাসূল (সা.)-এর যুগ থেকেই মুসলমানগণ কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। এ ব্যাপারে একটি হাদিস তাদেরকে উৎসাহিত করেছে। হাদিসে এসেছে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করো। কেননা তাতে মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময় রয়েছে। সহি বুখারি।  কালোজিরার ভেষজ ব্যবহার :  * নিদ্রাহীনতায় : মধু মেশানো এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে ঘুমের পূর্বে সেবন করতে হবে। এতে করে অনিদ্রা দূর হয়ে প্রচুর ঘুম হবে।  * মাথা ব্যথায় : পরিমাণ মতো কালোজিরার চূর্ণ এবং তার অর্ধেক পরিমাণ গরম লবঙ্গ এবং অর্ধেক পরিমাণ মৌরিফল এক সাথে মিশিয়ে মাথা ব্যথার সময় ননিযুক্ত দুধের সাথে সেবন করতে হবে। আর কালোজিরার তৈল দ্বারা যন্ত্রণার স্থানে ডলে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।  * যৌবন ধরে রাখতে ও লাবণ্যের জন্য : কোমল কালোজিরা পাতলা সিরকা এবং এক চামচ পরিমাণ গমের গুঁড়া মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ সন্ধ্যা বেলায় মুখম-লে মালিশ করবে এবং সকালে গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন একাধিকবার তা করবে। আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে যদি উষ্ণ পানীয় সহযোগে কালোজিরার ...

সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

  উচ্চ ঔষধি গুণ সম্পন্ন তরল ‘মধুর’ নানা গুণের কথা প্রায় সকলেরই জানা। তবে আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছেও কি এসব ভেষজ ওষুধের গুরুত্ব আছে? জীবনকে মধুময় করতে মধুর খাদ্য উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালে মধু খেলে ওজন কমে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এতে লিভার পরিষ্কার থাকে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। কারণ মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।  মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। হজমের সমস্যা দূর করার জন্য মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারি খাবার খা...

খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা

  জীবনকে মধুময় করতে মধুর খাদ্য উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে লিভার পরিষ্কার থাকে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। কারণ মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।   হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। হজমের সমস্যা দূর করার জন্য মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু কিন্তু খুবই উপকারী। মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। বিশেষ করে যারা ম...

শিশুদের জন্য ঘি – এটা কি নিরাপদ?

ঘি-কে একটি শক্তিশালী সুবাসযুক্ত মাখন হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়। ধীরে ধীরে মাখনকে ফুটিয়ে প্রস্তুত করা হয় সব যতক্ষণ না সব জল বাষ্পীভূত হয়ে যায় এবং ফ্যাটটি পৃথক হয়ে যায়। এর পরে, এটি একটি সুগন্ধযুক্ত, পুষ্টিকর স্বাদ দিতে কয়েক মিনিটের জন্য হালকা আঁচে গরম করা হয়। ঘি পুষ্টির একটি ভাল উৎস। ঘি শিশুদের ডায়েট অন্তর্ভুক্ত করা হলে এটি শিশুদের জন্য খুব উপকারী। ঘিয়ের পুষ্টির মান ঘি ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯-এর মত অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-তে ভরপুর। ঘি তার অ্যান্টিমাইকোবালিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। এটি শরীরের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, ক্ষতিকারক মুক্ত র‍্যাডিকেল অপসারণ করতে সাহায্য করে। ঘি হজমে সাহায্য করে এবং অনাক্রম্যতা ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য পরিচিত। ভিটামিন কে হাড়ের বিকাশের জন্য অপরিহার্য ক্যালসিয়াম উৎপাদনে সহায়তা করে। প্রতি টেবিল চামচ ঘিতে ১০৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে, যা দৈনিক প্রস্তাবিত পরিমাণের ১২ বা ১৫%। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘি শরীর থেকে কার্সিনোজেন অপসারণে সাহায্য করেছে। কার্সিনোজেন শরীরের ক্যান্সারের কারণ একটি রাসায়ন...

শীতে যেভাবে উপকার করে মধু

 প্রাকৃতিকভাবেই মধু নানা গুণের অধিকারী। এর রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতাও। আর শীতে শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়তা করে মধু। কেননা মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী একটি খাদ্য। দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে উষ্ণতা বাড়ায় মধু। তাই মধু খেলে শীত আপনাকে কাবু করতে পারবে না। শীতে মধু আরও যে উপকারগুলো করে এবার তা জেনে নিন.. ১. শীতে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগে সর্দি-কাশিতে। তাই কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কমবে। আর যারা অনেকদিন ধরে খুসখুসে কাশির সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত আরোগ্য হবেন। তবে এক বছরের কম বয়সী ছোট বাচ্চাদের মধু খাওয়াবেন না।  ২. শীতে পোড়া ও কাটাছেড়া সহজে ভাল হয় না। কিন্তু মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুড়ে বা কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। ৩. শীতে পিঠা-পায়েশের সঙ্গে নানা খাবারের স্বাদ যায় বেড়ে, তাই খাওয়ার পরিমাণও যায় বেড়ে। তখন অনেকের হজমে সমস্যা   দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম ...